(Credit-india.com) লালুপ্রসাদ যাদবের কনিষ্ট পুত্র তেজস্বী যাদব তার বন্ধু রাচেল কে হিন্দু রীতিমেনেই বিয়ে করলেন। তবে নামের কিছুটা পরিবর্তন ক...
লালুপ্রসাদ যাদবের কনিষ্ট পুত্র তেজস্বী যাদব তার বন্ধু রাচেল কে হিন্দু রীতিমেনেই বিয়ে করলেন। তবে নামের কিছুটা পরিবর্তন করে রাচেল এখন রাজেশ্বরী যাদব হয়েছেন। একান্ত কাছের বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের উপিস্থত কালে মঙ্গলবার রাতে বাগদান পর্ব সম্পন্ন হয়েছিল তেজস্বী ও রাচেলের।
অনেক জল্পনা চলছিল তাদের বিয়ে নিয়ে তবে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে লালু প্রসাদ যাদেবর (Lalu Prashad Yadav) বাড়িতে বেজে উঠল বিয়ের সানাই। শুভ দিনক্ষণ, তিথি মেনেই লালু প্রসাদ যাদবের ছোট ছেলে তেজস্বী যাদবের ও রাচেলের (Tejashwi Yadav's Wedding) বিয়ে সু সম্পন্ন হল। দিল্লির বাসিন্দা রাচেল গাজিনহো কে জীবন সঙ্গিনী হিসাবে বেছে নিলেন তেজস্বী যাদব।
উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব ও তাঁর স্ত্রী ডিম্পল সস্ত্রীক বিয়ের আসরে উপস্থিত ছিলেন।তেজস্বী যাদবের বড় দিদি মিশা ভারতী যিনি কিনা রাজ্যসভার সাংসদ তিনি ও উপস্থিত ছিলেন বিয়ের আসরে। জাতীয়স্তরের বহু শীর্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও এদিন আশীর্বাদ করেন তেজস্বী ও রাচেল কে । যাদব পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে জাঁকজমকহীন ভাবে সম্পন্ন হয়েছে বিয়ে।
হিন্দু নিয়ম রীতিমেনেই বিয়ে হয় তেজস্বী যাদব ও রাচেলের। তবে নাম পরিবর্তন করে রাচেল বর্তমানে রাজেশ্বরী যাদব হয়েছেন।খুব কাছের বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার রাতে বাগদান পর্ব সম্পন্ন হয়েছিল তেজস্বী ও রাচেলের। বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা যায় যে,সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে তেজস্বী ও রাচেলের সুসম্পর্ক ছিল।
পরিবার সূত্রের খবর নিজের বিয়ে উপলক্ষ্যে খুব বেশি আড়ম্বর করেননি সেই কারণেই বিয়ে নিয়ে কিছুটা গোপনীয়তা অবলম্বন করেছিলেন তেজস্বী।কোভিড সংক্রমণের মধ্যেই এই বিয়ে করতে হচ্ছে তাকে। কারণ বর্তমানে সংক্রমণের হার অনেকটা বাড়ছে। সেই কারণে ভিড় এড়িয়ে চলতে পরামর্শ দিয়েছিলেন তেজস্বী। ৩২ বছরের তেজস্বী যাদব বিহার বিধানসভার বিরোধী নেতা ছিলেন। আরজেডির প্রধানও ছিলেন তিনি।
গত বিধানসভা নির্বাচনে লালু প্রসাদ যদব যখন জেলবন্দি ছিলেন তখন তিনি দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁরই নেতৃত্ব ও তত্বাবধানে বিহারে নীতিশ কুমারকে জোর টক্কর দেয় আরজেডি। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ও বামেদের সঙ্গে জোট বেঁধে ভাল রকম লড়াই করেন তিনি। কিন্তু তিনি হেরে গেলেও তেজস্বীর রাজনীতিক কৌশলকে যথেষ্ট প্রশংসা পেয়েছে সারা ভারত জুড়ে।
বিয়ের অনুষ্ঠান এ অনাড়ম্বর হলেও তেজস্বী আর রাচেলের বিয়ের মঞ্চ কিন্তু ছিল যেথেষ্ট আনন্দ মুখর। বিয়ের জন্য বিভিন্ন রকমের ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছিল বিশাল মঞ্চ। নীল ও গোলাপি রঙের পর্দায় সাজানো হয়েছিল বিয়ের মঞ্চ।পোষাকের সৌন্দর্যে রাচেলও ছিলেন অনবদ্য। বাগদান থেকে বিয়ে - গোটা অনুষ্ঠানটি রাখা হয়েছিল মিডিয়ার আড়ালে।
সেই কারনে তেমন বিশেষ কোনও খবরও সামনে আসেনি। সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে দেওয়া হয়নি। সমস্ত অনুষ্ঠান টা ছিল যথেষ্ট নিরাপত্তার ঘেরাটোপে । বহু বাউন্সারদের উপস্থিতি ছিল তাদের বিয়ের আঙিনায় যা চোখে পড়ার মত। এছাড়াও বিয়ে বাড়ির বাইরে থেকেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল যাতে বিয়ের অনুষ্ঠানে কোনোরকম সমস্যা না হয়।
No comments