আন্দদের মধ্যে বিষাদের সুর নেনে এল শনিবার ক্রিসমাস দিনে খান পরিবারে। কারন শনিবার রাতে যখন সারা বিশ্ব মেতেছিল ক্রিসমাস ইভ এর আনন্দ উৎসবে, ঠিক ...
আন্দদের মধ্যে বিষাদের সুর নেনে এল শনিবার ক্রিসমাস দিনে খান পরিবারে। কারন শনিবার রাতে যখন সারা বিশ্ব মেতেছিল ক্রিসমাস ইভ এর আনন্দ উৎসবে, ঠিক তখনই বিপর্যয় নেমে এসেছিল বিলাসবহুল খান পরিবারে। সলমনকে আচমকা কামড় বসিয়েছিল এক সাপ।
সাপটি বিষধর হলে সালমানকে বেগ পেতে হ। যেহেতু সাপটি বিষধর ছিলনা সে কারণেই এ যাত্রায় রক্ষা পেলেন বলিউডের দাবাং খ্যাত সালমান। যে সাপটি দাবাং সালমান কে কামড় বসিয়েছিল, পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে সেটি ধরা পড়েছে। সাপটি ধরা পাড়ার পর কী ব্যবস্থা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল সে বিষয়ে জানিয়েছেন সলমনের বাবা সেলিম খান।
বিখ্যাত পত্রিকা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে এক এক্সক্লুসিভ সাখ্যাত্কারে সেলিম খান জানিয়েছেন, সাপটি বিষধর না হওয়ায় সালমানের ফার্ম হাউজ থেকে কিছুটা দূরে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাকে। সেলিম খানের বক্তব্য থেকে জানা যায়,সলমনকে যখন সাপটি কামড় দিয়েছিল তখন ই তার বাড়ির পরিচারকেরা এটিকে অতি দ্রুত ধরে ফেলে। যেহেতু সাপটিতে বিষ ছিল না তাই তাকে আঘাত না করে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
সলমনের পানভেলের ওই খামার বাড়িতে শুধু সাপ এর আধিক্য নয়, রয়েছে কাঁকড়াবিছেও। এ কথা জানিয়েছেন সালমানের পিত সেলিম নিজেই। তিনি আর ও বলেন যে, এর আগেও তাঁর বাড়ির পরিচালক বিছের কামড় খেয়েছে অনেকবার। তবে তার পুত্র এখন যে নিরাপদে রয়েছেন, এই খবরে অনেকটা স্বস্তি অনুভব করছেন তার পিতা। ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল শনিবার দিন রাতে?
সলমনের পরিবার থেকে জানা গিয়েছে, জন্মদিন ও ক্রিসমাস যৌথভাবে পালন করতে পানভেলে তাঁর ফার্মহাউজে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর ও গিয়েছিলেন সলমন। সেখানেই বাগান এর কাছাকাছি একটি জায়গায় বন্ধুদের সঙ্গে খোশ গল্পে মেতেছিলেন তিনি। সলমনের এই বাগান বাড়িটি কিছুটা জঙ্গলে ঘেরা। রয়েছে ফ্লোরা ও ফনার চাকচিক্য।
সেখানেই বড়দিনের রাতে হঠৎ ই তার হাতে কিছু কামড় অনুভব করেন তিনি। সলমনের এক বন্ধুই প্রথমে দেখতে পায় সাপটিকে। কোন সময় নষ্ট না করে ভাইজানকে নিয়ে যাওয়া হয় নিকটবর্তী হাসপাতালে। সেখানেই তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। হাসপাতালে তার প্রাথমিক চিকিৎসা করানোর পর তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আপাতত সালমান বিশ্রামে রয়েছেন।
এই বছর জন্মদিন অনেকটা ধুমধাম করে উৎসবের মধ্য দিয়ে পালন করার ইচ্ছে ছিল সলমনের। ভেবেছিলেন ওই ফার্মহাউজেই কাছের বন্ধুদের ও পরিবার নিয়ে করবেন জাঁকজমক সেলিব্রেশন। সেই কারণেই তাঁর পানভেলের ফার্ম হাউসে আসা। তবে আপাতত ভাইজানের শারীরিক অবস্থার যাতে উন্নতি হয় সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন তার ফ্যান রা। তিনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠুন সবার আগে, সেই প্রার্থনা করছেন তারা ।
No comments